[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

শাজাহানপুরে পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে এক গৃহবধূর সংবাদ সম্মেলন।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নাজিরুল ইসলাম, শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:

দাদন ব্যবসায়ীর হুমকি ধামকি থেকে বাঁচতে এবং পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মাদলা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর উত্তরপাড়া গ্রামের এনামুল হকের স্ত্রী গৃহবধূ নাজমা বেগম (৪০)। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দাদন ব্যবসায়ী মজনু মিয়াকে গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় নিতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন গৃহবধূ নাজমা বেগম।

 

রোববার দুপুরে শাজাহানপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গৃহবধূ নাজমা বেগম লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, প্রায় ৩ মাস আগে নিজের চিকিৎসার জন্য তিনি তার প্রতিবেশি মৃত কোরবান আলীর ছেলে মো: মজনু মিয়া (৪৫)’র নিকট থেকে সপ্তাহে ২ হাজার টাকা সুদ দেয়ার শর্তে আট আনা ওজনের স্বর্ণের কানের দুল বন্ধক রেখে ২০ হাজার টাকা নেন। অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় ২/৩ সপ্তাহে সুদের টাকা দিতে না পারায় গত ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে সহযোগিদের সাথে নিয়ে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে এবং তার স্বামীকে মারপিটে আহত করে মজনু মিয়া।

মারপিটের ঘটনায় মজনু মিয়া সহ তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে শাজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের করেন নাজমা বেগম। ওই মামলায় র‌্যাব সদস্যরা মজনু মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশে সোপর্দ করে। গ্রেফতারের ১দিন পরেই জামিনে মুক্ত হয় মজনু মিয়া। জমিনে মুক্ত হবার পর গত সেপ্টেম্বর দুপুরে সহযোগিদের সাথে নিয়ে মজনু মিয়া ফের নাজমা বেগমের বাড়িতে যায় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে তারা দাদনের টাকা পরিশোধ করতে বলে এবং মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়। অন্যথায় নাজমা ও তার স্বামীকে হত্যার হুমকি দেয়। হুমকি দেয়ার ঘটনায় শাজাহানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। কিন্তু তারপরও হুমকি ধামকি বন্ধ হয়নি। প্রতিপক্ষের লোকজন যে কোন সময় মারপিট কিংবা প্রাণ নাশের ঘটনা ঘটাতে পারে। লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, দাদন ব্যবসায়ী মজনু মিয়া এতটাই হিংস্র যে, তার ভয়ে কয়েকটি পরিবার নি:স্ব হয়ে এলাকা ছেড়েছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *